শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৪৮ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
গাজানীতির প্রতিবাদে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের পদত্যাগ ইসরাইলের আলটিমেটাম, যা বলল হামাস ফিলিস্তিনের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের যেসব বিশ্ববিদ্যালয় বিক্ষোভে উত্তাল শেরে বাংলার সমাধিতে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন ক্ষমতায় যেতে বিএনপি বিদেশী প্রভুদের দাসত্ব করছে : কাদের গাজার নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে ইসরাইলি হামলায় নিহত ১৫ ফিলিস্তিন সমস্যার ন্যায্য ও স্থায়ী সমাধান চায় চীন বিশ্বকাপে পাকিস্তানের ১৫ সদস্যের দলে যাদের রাখলেন ওয়াকার দীর্ঘ বিরতি শেষে বলিউডে ফিরছেন প্রীতি জিনতা রোহিঙ্গা ইস্যুতে একসাথে কাজ করবে ঢাকা-ব্যাংকক : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মেহেদি দিতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার শিশুর ২ আসামি ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত

মেহেদি দিতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার শিশুর ২ আসামি ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত

স্বদেশ ডেস্ক:

বাড়ির পাশে আত্মীয়ের বাড়ি হাতে মেহেদি লাগাতে গিয়ে ১২ বছরের এক শিশুর দুই ধর্ষক পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে ভোলা সদর উপজেলায় এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন-সদর উপজেলার চরসামাইয়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সৈয়দ আহম্মেদের ছেলে আল আমিন (২৫) ও কামাল মিস্ত্রির ছেলে মঞ্জুর আলম (৩০)। তারা দুজনই ওই শিশু গণধর্ষণ মামলার প্রধান দুই আসামি ছিলেন।

এর আগে ঈদের আগের দিন (রোববার) রাতে ভোলার সদর উপজেলায় ওই শিশু গণধর্ষণের শিকার হয়। শিশুটি স্থানীয় একটি স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী। তাকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (শেবাচিম) ভর্তি করা হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভোলা মডেল থানা পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) শিখর। তিনি জানান, মঙ্গলবার রাত আড়াইটার দিকে রাজাপুর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ রাজাপুরে নদীর তীর সংলগ্ন এলাকায় স্কুলছাত্রী গণধর্ষণ মামলার আসামিদের ধরতে যায পুলিশ। এ সময় আসামিরা উপস্থিতি টের পেয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি করে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি করে। এতে গণধর্ষণ মামলার প্রধান দুই আসামি নিহত হয়েছেন। তাদের মরদেহ ভোলা সদর হাসপাতালে রাখা রয়েছে।

শিশুটির পরিবারে সূত্রে জানা গেছে, গত রোববার রাত ৮টার দিকে প্রতিবেশী ও দূরসম্পর্কের এক আত্মীয়ের বাড়িতে হাতে মেহেদি লাগানোর জন্য যায় শিশুটি। এ সময় ওই প্রতিবেশীর ভাড়াটে আল আমিন শিশুটিকে ‘কথা আছে’ বলে নিজের ঘরে ডেকে নেন। সেখানে উপস্থিত ছিল তার বন্ধু মঞ্জু। স্ত্রী ঘরে না থাকার সুযোগে শিশুটির হাত-পা বেঁধে ও মুখে কাপড় গুঁজে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায় তারা। শিশুটির গোঙানির শব্দ পেয়ে প্রতিবেশীরা গিয়ে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।

অবস্থার অবনতি ঘটলে গত সোমবার বিকেলে উন্নত চিকিৎসার জন্য শিশুটিকে শেবাচিমে পাঠান কর্তব্যরত চিকিৎসক। এ ঘটনায় শিশুটির বাবা বাদী হয়ে তিনজনকে আসামি করে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেছেন।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877